breaking news

Breaking News
Loading...

বাংলাদেশ বর্তমান সরকার নয় জনগনের পাশে অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি এবং তাদের আকাঙ্খাপূরনে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র:জন কিরবি

ছবি:সংগৃহীত

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কুটনৈতিক তৎপরতা নতুন কিছু নয়। যখনই বাংলাদেশের নির্বাচন সামনে আসে তখনই কুটনৈতিক বিষয়টা খুব জোড়ালোভাবে সামনে আসে।ঠিক তেমনি আসন্ন জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে কুটনৈতিক তৎপরতাও বাড়ছে চোখে পড়ার মতো। ২০১৪ ও ২০১৮ বিগত দুটি নির্বাচন সুষ্ঠ হয়নি বলে অভিযোগ করছেন বিরোধী দল ও সুশীল সমাজের বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গরা।  তাই পশ্চিমা বিশ্ব বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র  আগামীর নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু দেখতে চায়। এই লক্ষে তারা তাদের ভিসানীতি সহ কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগ করছে সরকারের উপর। এ নিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী অসংখ্য অভিযোগ ছুরে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র র উপর। যখন এ নিয়ে রাজনীতির মাঠ সরগরম ঠিক তখনই নোবেল বিজয়ী ড. ইউনুস প্রসঙ্গটি সামনে চলে আসে ১৬০ জন বিশ্বনেতাদের চিঠির মধ্যদিয়ে। সাম্প্রতিক এই বিষয়ে গতকাল বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন প্রেস সেন্টারে আসন্ন জি-টুয়েন্টি এবং আসিয়ান সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের যোগদান  উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ ইস্যুতে করা এক প্রশ্নের জবাবে  যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল (এনএসসি)’র স্ট্র্যাটিজিক কমিউনিকেশন সমন্বয়ক অ্যাডমিরাল জন কিরবি জানান যে

 

আমাদের অবস্থানের কোনো নড়চড় হয়নি, বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্খা বাস্তবায়নে কাজ করে যাবে যুক্তরাষ্ট্র


বাংলাদেশি জনগণের আকাঙ্খাকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সাথে সমর্থন করে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা। যুক্তরাষ্ট্রের এমন অবস্থানের কোনো নড়চর হয়নি


গণতন্ত্র এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের নামে  বঙ্গোপসাগর ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র এই এলাকার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চায়- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন মন্তব্য এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া ও ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বিচারিক হয়রানির প্রসঙ্গ বিশেষ এই  ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন ওঠে আসে।     ভিডিওটি  দেখুন  প্রেস ব্রিফিং



জবাবে জন কিরবি  বলেন, “আমরা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সমর্থন করি। বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্খাকে আমরা সমর্থন করি। অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে আমাদের সমর্থন রয়েছে। এ জায়গায় আমাদের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি।”


তিনি বলেন, “বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্খার পূর্ণ বাস্তবায়ন হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এটা দেখতে চায়।”


“বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্খা যেনো বাস্তবায়ন হয় সে লক্ষ্যে কাজ করে যাবে যুক্তরাষ্ট্র”  বলে দ্ব্যর্থহীনভাবে উল্লেখ করেন বাইডেন প্রশাসনের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। 



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ